এই রাজ‍্য সরকারের বেশীরভাগ মন্ত্রীই চোর : বললেন রাজু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

28th November 2020 6:08 pm বর্ধমান
এই রাজ‍্য সরকারের বেশীরভাগ মন্ত্রীই চোর : বললেন রাজু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : এই রাজ্য সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীই চোর। আর ছমাস ওরা লালবাতি চাপবেন। এদিন বিজেপির এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায় এই কথাগুলি বলেন।এদিন রাজু বলেন; কার নাম বলবো? স্বপন দেবনাথ ; জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক; ববি হাকিম থেকে অনুব্রত মন্ডল।কেউ চোর কেউ মাফিয়া।এখানে দুরকম পুলিশ আছেন।কাটমানি খাওয়া পুলিশ আর দক্ষ পুলিশ। দক্ষ পুলিশদের পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের যেমন নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। তেমনই দক্ষ পুলিশ আর কাটমানি খাওয়া পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধবে। তিনি আরো বলেন; ওরা আর ক মাস  লালবাতির গাড়ি চাপবে? তিনি বলেন; একমাত্র তৃণমূল শ্মশানে নিজেই লিখে রেখেছে ২০২১ এ তৃণমূল আসছে।এর প্রতিক্রিয়া  চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কাছে।তিনি বলেন; আমার নামে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই।যদি থাকে সেটা পুলিশ প্রশাসন দেখুক।আমি মানুষের কোর্টেই বিচারের ভার তুলে দিলাম।এছাড়া এদিন বর্ধমান হাসপাতালে এসে বুদবুদের নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন; রাজ্যে ধর্ষণ কান্ডে তৃণমূলের কেউ জড়িত হলে পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকে। সেই প্রসঙ্গে স্বপন দেবনাথ বলেন; বুদবুদের ঘটনায় ইতিমধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে।প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।তিনি আরো বলেন ; ওরা আগে বলুক উত্তরপ্রদেশ কান্ডে ওরা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।হাসপাতালে বুদবুদের নিগৃহীতার ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছেনা; এই অভিযোগও এদিন স্বপন দেবনাথ খারিজ করে দেন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।